যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে নাইমা খাতুন (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ধলিয়ার বিলে একটি মাছের ঘেরের কচুরিপানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নাইমা খাতুনের পিতা মনিরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে রোববার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করতে বের হওয়ার পর সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে তাকে খুঁজতে শুরু করি। রাত সাড়ে দশটার সময় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ধলিয়ার বিলের মাঠে শফি কামালের মাছের ঘেরের কঁচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নাইমা খাতুনের বড় ভাই নাইম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি তার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, আর কোনো ভাইয়ের বুক এভাবে যেন খালি না হয়।
- পুলিশ জানায়, স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে তার লাশ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আমজাদ হোসেন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে যশোর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কাজ শুরু করেছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, শিশুর লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে, শিশুটির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে এ হত্যার আসল রহস্য। শিশুটি নিহতের ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নেমেছে। আশা করছি, অতি শীঘ্রই আসল ঘটনা জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।